সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন মির্জা ফখরুলের ভাষায়: স্বাধীনতার শত্রুরা আবারো মাথাচাড়া দিতে চায় আ.লীগ বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছিল ১৯৯৬ সালে: জামায়াতের আমিরের বিস্তৃত মন্তব্য নাহিদ ইসলাম: একাত্তর ও চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে 우리는 একাত্ম তারেক রহমান বললেন, ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরব ইনশাআল্লাহ তারেক রহমানের অনুরোধ: আসবেন না এয়ারপোর্টে বিদায় দিতে ইনুর বৈধতা চেয়ে টেলিভিশনে সরাসরি বিচার সম্প্রচারের আবেদন ইইউ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির আমন্ত্রণ, টিভি টক শোতে সকল প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি আন্দোলন চালিয়ে ভাতার দাবিতে অবরুদ্ধ করা অর্থ উপদেষ্টাকে, ১৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের আরও তিন হত্যা মামলায় জামিন স্বীকৃতি
ফেলানীর ভাই আরফান বিজিবিতে যোগ দিলেন

ফেলানীর ভাই আরফান বিজিবিতে যোগ দিলেন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ফেলানী খাতুনকে বিএসএফের গুলিতে হত্যা করা হয়। সেই সময় তার মরদেহ কাঁটাতার ঝুলে থাকায় দেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর শোক ও আবেগের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনার পর থেকে ন্যায় এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পরিবারের লড়াই চলতে থাকলেও আজ অবশেষে তাদের স্বপ্ন পূরণের এক শুভ মুহূর্ত এসেছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সিপাহী নিয়োগ পরীক্ষায় এ জয় অর্জন করেন আরফান হোসেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, বৃহস্পতিবার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। এই সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা মো. নুরুল ইসলাম।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ফেলানীর ছোট ভাই এখন দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়ে গর্বিত। এই অর্জন তাকে নতুন জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। সে বলে, ‘বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কিছু করব। ফেলানীর হত্যার ঘটনা আমাকে আরও বেশি প্রতিবাদী এবং দেশপ্রেমের জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। বিজিবিকে ধন্যবাদ জানাই এই সুযোগ দেওয়ার জন্য।’

বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘বিজিবি সব সময় ফেলানীর পরিবারের পাশে আছে। ফেলানীর ছোট ভাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করবেন। আমরা আশা করি, প্রশিক্ষণ শেষে তিনি একজন যোগ্য সৈনিক হিসেবে দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন। সীমান্তে ভবিষ্যতে কোনও নৃশংসতা আর ঘটবে না, এই জন্য বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও সচেতন হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

ফেলানীর বাবাও পরে বলেন, ‘নিজের ছেলেকে এই চাকরি পাওয়া তার স্বনাম অর্জন, সবার দোয়া এবং পরিবারের সমর্থন ছিল। আমি বিশ্বাস করি, ছেলে সততার সঙ্গে কাজ করবে, তখন আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd